• দেবিদ্বার খবর

    শ্বশুর বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে হাত-পা বাঁধা গলিত লাশ উদ্ধার

      প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৪:৫৩:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ


    স্ত্রী-পুত্র কতৃক নিখোঁজের নাটক;
    শ্বশুর বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে হাত-পা বাঁধা গলিত লাশ উদ্ধার
    আব্দুল আলীম// বার্তা ডেস্কঃ
    কুমিল্লার দেবিদ্বারে পরিবারের সদস্যদের কর্তৃক নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যাপূর্বক শ্বশুর বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে লোকিয়ে রাখার ৩৫ দিন পর করিম ভূইয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
    ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ৩ নং রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের গাবুদ্দি সরকার বাড়ির গোমতী নদীর সংযোগ খালের পাড়ের সেফটি ট্যাঙ্কিতে।
    নিহত করিম ভূইয়া উপজেলার বড়শালঘর মন্ত্রীপুল সংলগ্ন ভূইয়া বাড়ির মৃত: কাসেম ভূইয়ার পুত্র। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
    এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার(৪০), দুই পুত্র তানজিদ ভূইয়া(২২), তৌহিদ ভূইয়া(২১), দুই শ্যালক মোজাম্মেল হক(৪২) ও ইশরাফিল(৪০)কে আটক করেছে পুলিশ।
    বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্হানীয় ও নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন(৬০)’র সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার কেল্লা শাহ দরবারে যাওয়ার পর থেকেই সে নিখোঁজ হন।
    ওই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আমির হোসেন ভূইয়া(৬০) ১৬ আগস্ট দেবিদ্বার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন(ডায়েরী নং N৮৩৪)। নিখোঁজ ডায়েরীর পর আত্মীয় স্বজনের বাড়ি, নিজ এলাকায় এবং আখাউড়া কেল্লা শাহ মাজার এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিং করেও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
    গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিহতের বড়ভাই  মো. আমির হোসেন’র ফোন নম্বরে একটি অজ্ঞাতনামা নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলেন, আপনার ভাইকে তার শ্বশুর বাড়িতে খোঁজলেই পেয়ে যাবেন। আমির হোসেন বিষয়টি বিশ্বাস না করলেও পরিবার ও প্রতিবেশীদের সাথে আলোচনা করে থানায় এসে পুলিশকে অবগত করেন। এবং পরে পুলিশসহ নিহতের শ্বশুর বাড়ি এবং আশপাশ এলাকায় খোঁজ খবর নিতে থাকে এক পর্যায়ে গোমতী নদীর সংযোগ খালের পাড়ে তাদের নির্মাণাধীন একটি নতুন সেফটি ট্যাঙ্কির ঢাকনা খুলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূইয়ার গলিত লাশ উদ্ধার করেন।
    নিহতের ভাই আমির হোসেন ভূইয়া আরো জানান, আমার ভাইয়ের সাথে তার স্ত্রী প্রতিনিয়ত পারিবারিক কলহে জড়িত থাকত, মামলা করে জেলও ঘাটিয়েছে। প্রায়ই মা ছেলেরা ঝগড়া করত। এ হত্যাকান্ড তারা ঘটিয়েছে ও নিখোঁজ নাটক করেছে।
    এ ব্যপারে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, রহস্য ঘেরা হত্যাকান্ড: তদন্ত চলছে।। তবে করিম ভূইয়া নেশাগ্রস্থ এবং নারী লোভী ছিল, সে তার মেয়ের দিকেও কুনজর দিয়েছিল। এসব কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী, পুত্র, শ্যালক মিলে হত্যা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content